ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া সীমান্ত দিয়ে রাতের আঁধারে ২২ বাংলাদেশিকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। সোমবার (২ জুন) দিবাগত রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে সীমান্তের দুই প্রান্ত দিয়ে বাংলাদেশিদের ঠেলে পাঠানো হয় বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পুশইন হওয়াদের মধ্যে ১২ জন নারী, ৮ জন পুরুষ ও ২ শিশু রয়েছে।
বিজিবি সূত্র জানায়, ধোবাউড়ার মুন্সিপাড়া সীমান্ত দিয়ে এক শিশু ও তিন নারীসহ ১২ জনকে পুশইন করা হয়। অন্যদিকে হালুয়াঘাট উপজেলার সূর্যপুর সীমান্ত দিয়ে এক শিশু ও ৯ নারী বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয় বিএসএফ। দু’টি এলাকাতেই বিজিবি সদস্যরা পুশইন হওয়াদের আটক করেন।
আটককৃতরা দাবি করেন, গুজরাটে বসবাসরত অবস্থায় গত ২৪ মে তাদের আটক করে স্থানীয় পুলিশ। এরপর বিভিন্ন সময় তাদের মারধর করা হয়। সঙ্গে থাকা মোবাইল, আইডি কার্ড, আধার কার্ডসহ যাবতীয় কাগজপত্র ও মালামাল কেড়ে নেয় পুলিশ।
তারা আরও জানান, তাদের বাড়ি বাংলাদেশের নড়াইল, সিরাজগঞ্জ ও খুলনা জেলায়। ২০০৪ সালে দালালের মাধ্যমে বেনাপোল সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পাড়ি জমান তারা। গুজরাটে বিভিন্ন দোকানে কাজ ও ব্যবসা করতেন, এমনকি অনেকেই ভারতীয় নাগরিকত্বও পেয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই গুজরাট পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। কয়েকদিন আটক রেখে কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই সোমবার রাতে বাংলাদেশে পুশইন করে দেয়।
বিষয়টি নিয়ে বিজিবির ময়মনসিংহ সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “রাতেই আমরা বিএসএফকে প্রতিবাদ লিপি পাঠিয়েছি। আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”